আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
যুক্তরাষ্ট্রের নব নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সরকার গঠনের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন। ইতোমধ্যে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ দিয়েছেন তিনি। এবার ধনকুবের ইলন মাস্ক ও মার্কিন উদ্যোক্তা বিবেক রামাস্বামীকে সরকারি দক্ষতা বিভাগের (ডিপার্টমেন্ট অব গভমেন্ট ইফিশিয়েন্সি) দায়িত্ব দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।
ওয়াশিংটন থেকে এএফপি এ খবর জানিয়েছে।
গত ৫ অক্টোবর পেনসিলভানিয়ার বাটলারে ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণায় বক্তব্য রাখেন ইলন মাস্ক।
সময় গতকাল মঙ্গলবার ডোনাল্ড ট্রাম্প এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘মাস্ক ও রামস্বামী আমার প্রশাসনে সরকারি আমলাতন্ত্র, অতিরিক্ত প্রবিধান বাদ দেওয়া, অপব্যয় হ্রাস এবং ফেড়ারেল সংস্থাগুলো পুনর্গঠনের পথ প্রশস্ত করবে।’
ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যাপকভাবে সক্রিয় ছিলেন ইলন মাস্ক। অনুদানও দিয়েছেন প্রায় ১০ কোটি মার্কিন ডলার। যদিও ট্রাম্প জেতার পরে মাস্কের সম্পদ বাড়ছে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার।
বিজয়ী ভাষণে বিশেষভাবে মাস্কের কথা বলেছেন ট্রাম্প। তার ভূঁয়সী প্রশংসাও করেন। আভাস পাওয়া যাচ্ছিল, আগামী প্রশাসনে টেসলার মালিককে গুরুত্বপূর্ণ কোনো পদে দেখা যেতে পারে।
অবশেষে ডোনাল্ড ট্রাম্প জানালেন, ইলন মাস্ক ও সাবেক প্রেসিডেন্ট প্রার্থী বিবেক রামাস্বামীকে নতুন একটি দফতরের দায়িত্ব দিয়েছেন।
এক বিবৃতিতে ট্রাম্প বলেন, ‘এই দু’জন অসাধারণ আমেরিকান মিলে সরকারি আমলাতন্ত্রের অবসান ঘটানোর পথ তৈরি করবেন।’
তিনি আরো বলেন, বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণের বাড়াবাড়ি ও অর্থের অপচয় রোধ এবং রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর পুনর্গঠনে কাজ করবেন তারা। যা, ‘সেইভ আমেরিকা’ উদ্যোগের জন্য অপরিহার্য’।
গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলা এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সের মালিক বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক। ট্রাম্পের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত মাস্ক।
যুক্তরাষ্ট্রে গত ৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বিপুল বিজয়ের পর ট্রাম্পের দেয়া ঐতিহাসিক ভাষণে ইলন মাস্কের নাম বিশেষভাবে উচ্চারিত হয়। ফ্লোরিডার ওয়েস্ট পাম বিচে দেয়া ভাষণে মাস্কের নাম উল্লেখ করে ট্রাম্প বলেন, ‘একজন তারকার জন্ম হয়েছে, তার নাম ইলন।’ পাশাপাশি নিজের দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পথে ইলন মাস্কের সহযোগিতার কথাও কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন তিনি।
অন্যদিকে ভারতীয় বংশোদ্ভূত বিবেক রামাস্বামী প্রযুক্তি খাতের উদ্যোক্তা, অধিকারকর্মী ও বিনিয়োগকারী। যুক্তরাষ্ট্রের এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টি থেকে প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন। পরে প্রাথমিক বাছাইয়ে হেরে ট্রাম্পকে সমর্থন দিয়ে সরে দাঁড়ান তিনি।